যে ভি’টামিনের অভাবে হাতের তালু অনবরত ঘামতে থাকে, জেনে নিন উপকারে আসবে

অনেকে আছেন যাদের হাতের তালু অনবরত ঘামে—এমনকি ঠান্ডা পরিবেশেও! এ সমস্যা শুধু অস্বস্তিকরই নয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনেও অপ্রত্যাশিত বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সমস্যা অনেক সময় ভিটামিনের অভাব থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২–এর ঘাটতি হলে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের তালু ঘামে?

১. ভিটামিন ডি (Vitamin D): ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং স্নায়ুতে অস্বাভাবিক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এতে শরীরের কিছু নির্দিষ্ট অংশ, বিশেষ করে তালু বা পায়ের তলা ঘেমে যেতে পারে। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে মাথার তালু ঘামাও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।

২. ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12): স্নায়বিক ভারসাম্য রক্ষায় ভিটামিন বি১২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতির ফলে হাত-পায়ে ঝিনঝিনে ভাব, দুর্বলতা, ও ঘাম হওয়া — বিশেষ করে তালুতে ঘাম — দেখা দিতে পারে। নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই ঘাটতি বেশি দেখা যায়।

৩. ভিটামিন বি১ ও বি৬: এই দুটি ভিটামিনও স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে এবং ঘাম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতি হলে হাতের তালুতে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

চিকিৎসা ও প্রতিকার

রক্ত পরীক্ষা: প্রথম ধাপ হলো প্রয়োজনীয় ভিটামিনের মাত্রা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া।

সাপ্লিমেন্ট: ঘাটতি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত।

খাবার: সঠিক খাবারের মাধ্যমে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

কোন খাবারে পাওয়া যায়

ভিটামিন ডি: রোদ, চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, ফোর্টিফায়েড দুধ

ভিটামিন বি১২: মাংস, ডিম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ

ভিটামিন বি৬/বি১: বাদাম, সবুজ শাকসবজি, কলা, ছোলা

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ঘাম নয়, যদি তালুর ঘামের সঙ্গে সঙ্গে শরীর দুর্বল লাগে, মনমরা ভাব হয় বা স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। অনেক সময় এই ঘাম আসলে শরীরের ভিতরের একটি সিগন্যাল।

আপনার যদি অনবরত হাতের তালু ঘামার সমস্যা থাকে, তবে সেটিকে অবহেলা না করে যথাসময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *